আগস্ট ১২, ২০২০
সেচ প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র জেলার দুই উপজেলায় ফসল উৎপাদন নিয়ে সংশয়
নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষিখাত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে ক্রমাগতভাবে পিছিয়ে পড়ছে সাতক্ষীরার দুই উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের কৃষি। অপরিকল্পিত ঘের, বসতবাড়ি নির্মাণ এবং স্থানীয় খালগুলোর স্থায়ী বেড়ি-বাঁধ না থাকার কারণে প্রতি বছর আগাম বন্যায় তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই এলাকার ৫ হাজার বিঘা জমির ফসল। তিন ফসলি জমিতে এখন একটি ফসল আবাদ হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির সমস্যা আর ভরা মৌসুমে বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানি বন্ধী হয়ে থাকছে ফসলের মাঠে। ফলে একদিকে যেমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, অপরদিকে পানি বৃদ্ধির সময় পুরা ফসলের মাঠে কচুরি পানায় ভরে থাকছে। শুষ্ক মৌসুমে সেচ প্রকল্প দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পাশাপাশি কচুরি পানা সরিয়ে কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করতে হচ্ছে কৃষকদের। আর এ কারণে ফসল উৎপাদনে কৃষকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। ফসল আনা নেওয়ার জন্য বিলে নেই যাতায়াতেরও সু-ব্যবস্থা। ফলে ফসলের মাঠের আইল ধরে অনেক কষ্ট করে ফসল আনতে হয় তাদের। গড়ে এক দশকে দু’একবারও ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। বছরের পর বছর চাষাবাদ করে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনছেন এসব অঞ্চলের কৃষকরা। তার উপর স্থানীয় একটা কুচক্রী মহলের চাঁদাবাজি ও ষড়যন্ত্রের কারণে বছরে এক ফসল উৎপাদন করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে। এতে ওই অঞ্চলের কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কুচক্রী মহল থেকে নিস্তার পেতে এবং পিছিয়ে পড়া কৃষিকে এগিয়ে নিতে ওই সকল এলাকার খালের স্থায়ী বেড়ি-বাঁধ নির্মাণ ও বেতনা সংস্কারের দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে মালদাড়ী বিলের সেচ প্রকল্প কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, বেতনা ছাড়া মালদাড়ী বিল অনেক নিচুতে অবস্থিত। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি খালের মধ্যদিয়ে বেতনা নদীতে প্রবেশ করতে পারে না। তাছাড়া বেতনা নদীতে কচুরিপানাতে ভরপুর। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে অত্র বিলের পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসময় তিনি আরো বলেন, মালদাড়ী খালে কোন বেড়ি বাঁধ নাই। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতেকরে চরম সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। সেচ প্রকল্পের বিদ্যুৎ বিল বহন করার জন্য বহু বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ওই সমস্ত অনাবাদি জমিতে মাছ চাষ করে আসছে কৃষকরা। তবে সম্প্রতি একটা মহল মাছ চাষে বাধাবিঘœ সৃষ্টি করছে। এখন তাদের কারণে বছরে এই ৫হাজার জমিতে একটি ফসল উৎপাদন করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এখন স্থানীয় গ্রামবাসীরা যদি মাছ চাষ না করে তাহলে তাদের পক্ষে কখনো দুই, তিন লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বহন করে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব না। এতেকরে বছরের পর বছর ওই সমস্ত জমি অনাবাদি থেকে যাবে। এ কারণে খালের বেড়ি বাঁধ নির্মাণ অথবা মাছ চাষে যেন কোন সমস্যা সৃষ্টি নাহয় সেটার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। 8,462,157 total views, 9,753 views today |
|
|
|